দখিনের খবর ডেস্ক ॥ পেঁয়াজ, ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল ও আটার মতো নিত্যপণ্যের বাজার আগামী রমজানে স্বাভাবিক রাখতে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ওই লক্ষ্যে ভোগ্যপণ্য আমদানি ও মজুদ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেজন্য ৩ মাস আগেই ব্যবসায়ীদের ৪টি ভোগ্যপণ্যের আমদানি বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবি প্রথমবারের মতো অনলাইনে ‘ঈদ উপহার’ নামে বিশেষ প্যাকেটে নিত্যপণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে নগরবাসী ঘরে বসে অনলাইনে টিসিবির পণ্য কেনার সুযোগ পাবে। সেই সঙ্গে টিসিবির পণ্যবিক্রি কার্যক্রমও ৩ গুণ বাড়ানো হবে। প্রধানন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভোগ্যপণ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় ১৭টি নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দেশনা রয়েছে। ওই প্রেক্ষিতে নিত্যপণ্যের ন্যায্যদাম ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে সমন্বিত কর্মসূচী বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। সেজন্য দুই মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে। ওই কমিটি নিত্যপণ্যের বার্ষিক চাহিদা, উৎপাদন, আমদানি, মজুদ, বিপণন ও মূল্য পর্যালোচনাপূর্বক নিদের্শনা দেবে। করোনা সঙ্কটে ভোগ্যপণ্যের অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির সুযোগ না দিতে এবার শব-ই-বরাতের পর থেকে সরকারি সংস্থাগুলো নিয়মিত বাজার মনিটর করবে। নির্ধারিত মূল্যের বাইরে পণ্য বিক্রির কোন সুযোগ থাকবে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেজন্য বাজার মনিটরিংয়ে সবচেয়ে বড় টিম গঠন করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকেও পৃথক দুটি টিম বাজার তদারকি করবে। পাশাপাশি ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার নজর থাকবে। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বেসরকারি খাতকে আমদানি কার্যক্রম বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ফলে ওই খাতের ব্যবসায়ীরা রমজানের ৩ মাস আগে থেকে ভোগ্যপণ্যের আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি রমজানের প্রস্তুতি নিয়ে দেশের ভোগ্যপণ্যের আমদানিকারকদের নিয়ে একটি বৈঠক করে। ওই বৈঠকে নিত্যপণ্য সংক্রান্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাতে রমজানে ব্যবহার হয় তেমন পণ্যের মজুদ ও আমদানি বাড়ানোর উপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। রমজান শুরুর একমাস আগে থেকেই চাহিদার সব পণ্য আমদানি ও মজুদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে সহজ শর্তে এলসি খোলা ও প্রয়োজনে ঋণ দেয়ার জন্য নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে। পাশাপাশি রমজানে ব্যবহার হয় এমন সব ভোগ্যপণ্যের আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ এবং বন্দরে দ্রুত ছাড় করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে সরকার। একই সাথে রাষ্ট্রীয় বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির কার্যক্রমও শক্তিশালী করা হচ্ছে। ইফতারিতে ব্যবহার হয় এমন সব পণ্যই এবার টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। সূত্র জানায়, রমজানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ ও ছোলা। সেজন্য ওই চার পণ্যের আমদানিতে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। আগামী রমজানে ভোগ্যপণ্যের সঙ্কট দূর করতে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য-সামগ্রী আমদানি করা হবে। তাই বাংলাদেশ ট্রেড এ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আগেভাগেই চাহিদাসংক্রান্ত একটি হিসাব-নিকাশ করেছে। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী পণ্য-সামগ্রী আমদানি ও বাজারে সরবরাহ করা হবে। সারাবছর দেশে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে অন্য মাসের তুলনায় রমজানে পণ্যটির চাহিদার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে। চিনির মোট চাহিদার ৯৫ শতাংশই আমদানি করতে হয়। তাছাড়া সারা বছরে ২৪ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে রমজানে চাহিদওা বাড়ে। ওই সময় ২ থেকে আড়াই টন পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। ডাল ও ছোলার চাহিদা হয় প্রায় ৯০ হাজর থেকে ১ লাখ টন করে। আর ভোজ্যতেল সারা বছরে ১৮-২০ লাখ টনের প্রয়োজন হলেও রমজানে অতিরিক্ত ২ থেকে আড়াই লাখ টনের চাহিদা বাড়ে। যে কারণে আমদানির প্রয়োজন হয়। যদিও অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে সারাবছর খাদ্যপণ্য আমদানি করা হয়। তবে রোজায় বাড়তি চাহিদা তৈরি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে থাকে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দ্রব্যমূল্য পূর্বাভাস সেল এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক করে ভোগ্যপণ্য আমদানি বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিয়েছে। নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনিসহ নানারকম খাদ্যপণ্য রয়েছে। কেন্দ্রয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার বেশি পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে সর্বোচ্চ আমদানি হয় চীন থেকে যা মোট আমদানির ২৬ শতাংশের বেশি। তারপরেই রয়েছে ভারত, যেখান থেকে মোট আমদানির প্রায় ১৫ শতাংশ আনা হয়। তাছাড়া সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়। সূত্র আরো জানায়, সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবির আওতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে চিনি, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, ছোলা, খেজুরসহ কিছু পণ্য আমদানি করা হয়। তাছাড়া ব্রাজিল থেকে গম, চিনি, মাংস এবং নানা ধরনের শুকনো ফল ও মসলাও আমদানি হয়। বাংলাদেশের পামতেল আমদানিতে বড় উৎস ইন্দোনেশিয়া। মূলত চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন না হওয়ার কারণে প্রতিবছরই আবশ্যিক খাদ্যশস্যের একটি অংশ আমদানি করতে হয়। আগামী রমজান মাস থেকে টিসিবির কার্যক্রম ৩ গুণ বাড়ানো হবে। সেজন্য টিসিবির আমদানি কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে। এবারই প্রথমবারের মতো টিসিবি সরাসরি তুরস্ক থেকে ১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। রমজানের সময় পেঁয়াজের পাশাপাশি সংস্থাটি ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর এবং ছোলা বিক্রি করবে। সেজন্য টিসিবি পণ্য মজুদ কার্যক্রম বাড়িয়েছে। চট্টগ্রামে টিসিবির গুদাম বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও টিসিবির পণ্য মজুদ বাড়াতে গুদামের সংরক্ষণ ক্যাপাসিটি বাড়ানো হচ্ছে। ফলে নগরীর স্বল্প আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও টিসিবির পণ্য কিনতে পারবে। এমনকি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে টিসিবির ঈদ উপহার নামে প্যাকেটে ভোগ্যপণ্য কেনারও সুযোগ দেয়া হবে। তার পাশাপাশি সংস্থাটির ট্রাকসেল কার্যক্রম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আগামী রমজান মাসে বাজার মনিটরিং জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত বাজার মনিটরিং কমিটি ঢেলে সাজানো হবে। ওই কার্যক্রমের সঙ্গে ঢাকা জেলা প্রশাসনসহ প্রতিটি জেলা প্রশাসনে স্থানীয় প্রতিনিধিদের যুক্ত রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাছাড়া রোজায় মজুদদারি ও অধিক মুনাফার নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে মসজিদে বিশেষ বয়ান করানো যায় কিনা তাও ভেবে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে কোথাও কোন মজুদ হচ্ছে কিনা তা মনিটর করার জন্য স্থানীয় নেতাদের যুক্ত রাখার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে ১৪টি মনিটরিং কমিটি রয়েছে, তার প্রধান থাকে মন্ত্রণালয়ের ১৪ উপসচিব বা সমপর্যায়ের ১৪ কর্মকর্তা। তাদের সঙ্গে ঢাকা জেলা প্রশাসনসহ কৃষি, খাদ্য, অর্থ, বাংলাদেশ ব্যাংক, সড়ক পরিবহন, নৌ মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি যুক্ত থাকে। আর সঙ্গে থাকেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ, আনসার ও র্যাবের সদস্যরা। অন্যদিকে আগামী রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, বিভাগ ও সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করা হবে। আর পুরো বিষয়টি মনিটর করবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। রমজানজুড়ে বাজারগুলোতে গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা সক্রিয় থাকবে। তাছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিদ্যুত মন্ত্রণালয়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, টিসিবি, ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর ও নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সাথে ম্যানুপুলেটের সুযোগ বন্ধ করে বাজারে চাহিদামতো পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। ফেরি পারাপারে পণ্যবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার দেয়া, মহাসড়কে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে পণ্যবাহী ট্রাক নিরাপদে বাজার পর্যন্ত নিয়ে আসা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর ও অধিদফতরের নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা, ট্রাকসেলে টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও পণ্যের পরিমাণ বাড়ানো, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যক্রম বাড়ানো, ভেজাল খাদ্যরোধে নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের উদ্যোগ গ্রহণ, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন ভর্তুকি মূল্যে বাজারে চিনি বিক্রি করার মতো কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া পণ্যসরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে রাস্তায় ট্রাফিক জট কমানো, ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, এক মাস রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ, স্থলবন্দরগুলোতে পেঁয়াজ, রসুনসহ মসলা জাতীয় পণ্যের দ্রুত ছাড়করণ, বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ানো এবং প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা টানানোর মতো নিদের্শনা দেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন জানান, রমজান মাস সামনে রেখে এবার আগাম প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ওই সময় যাতে জিনিসপত্রের দাম না বাড়ে সেজন্যই এমন পদক্ষেপ। আগামী রমজান মাসে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে। সরকার যেহেতু সরাসরি কোন ভোগ্যপণ্য আমদানি করে না, সেজন্য বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এবার রমজানে সব ধরনের পণ্য স্বাভাবিক দামে বিক্রি হবে। তাছাড়া সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি রমজানে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করতে যাচ্ছে। ওই সময় পণ্য বিক্রির পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়ানো গেলে বাজারের ওপর চাপ কমবে। ওই কারণে টিসিবির কার্যক্রম বাড়ানো হবে। একই প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সম্প্রতি দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে জানান, করোনার কারণে আগে থেকেই বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। তবে এবার রোজার সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ে কারও কারসাজির কোন সুযোগ থাকবে না। এজন্য মজুদ বাড়াতে আমদানি বাড়ানো হবে এ বছর দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুদ ও মূল্য স্বাভাবিক থাকবে। কারণ চাহিদার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পণ্যের মজুদ রয়েছে।
Leave a Reply